কীভাবে ইকমার্স ওয়েবসাইট দিয়ে প্রথম সেলটি নিয়ে আসবেন?

কীভাবে ইকমার্স ওয়েবসাইট দিয়ে প্রথম সেলটি নিয়ে আসবেন?

যে কোনো নতুন ইকমার্স সাইটের সবচাইতে বড় চ্যালেঞ্জ কী জানেন?

ইকমার্স সাইট দিয়ে প্রথম সেলটি নিয়ে আসা!

যারা অনলাইনে আগে থেকেই বিক্রি করেন বা বিক্রি শুরু করতে চান – একটি ইকমার্স সাইট বানানোর পর সবাই আশা করেন, খুব ভালো সেল হবে । বাস্তবে দেখা যায়, অনেকের কোনো সেলই হচ্ছে না, অথবা অনেক সময় লাগছে প্রথম সেলটি আসতে।

কারণ কী? 

অন্যতম কারণ হলো, ইকমার্স সাইটটি উপযুক্ত পরিকল্পনা না করে তৈরী করা এবং ইকমার্স এর উপযুক্ত মার্কেটিং পলিসি নিয়ে চিন্তা না করা । অনলাইন বিজনেসে সেল আনার জন্য দুইটা জিনিস অত্যাবশ্যক – ভালো একটি সাইট এবং ভালো মার্কেটিং স্ট্রাটেজি ।

অনলাইন বিজনেসে ইকমার্স সাইট সহ প্রয়োজনীয় টুলস ও টেকনোলজি ডেভেলপ করার আগেই আপনাকে চিন্তা করতে হবে – অনলাইন বিজনেসে আপনার লক্ষ্য কী? এরপর জানতে হবে আপনার অনলাইন বিজনেসের জন্য সঠিক টুলস ও টেকনোলজি কোনগুলি । সবশেষে, এগুলির সঠিক ব্যবহার।

ইকমার্স সাইট থাকলেই কেনাবেচা ভালো হবে এমন চিন্তা করা বাস্তব সম্মত নয়। তবে অবশ্যই সব ইকমার্স  উদ্যোক্তাই চান, দ্রুত তার প্রোডাক্টের সেল শুরু হোক ।

দীর্ঘমেয়াদি রেগুলার সেলের জন্য অনলাইন বিজনেস স্ট্রাটেজি একটি ই-কমার্স বিজনেসকে সফলতা এনে দেয়।  অনলাইনে অপরিকল্পিত মার্কেটিং কৌশল ও সঠিক গাইড লাইনের অভাব আপনার বিজনেসটিকে কখনোই লাভবান করবে না ।

তাহলে কিভাবে একজন অনলাইন উদ্যোক্তা নতুন তৈরি করা ই-কমার্স সাইট দিয়ে  সফলভাবে অনলাইন বিজনেস চালিয়ে যাবেন?

এই ব্লগটিতে কিছু পরীক্ষিত অনলাইন মার্কেটিং কৌশল তুলে ধরা হয়েছে – যেকোনো ই-কমার্স বিজনেসের জন্য এই কৌশলগুলি অব্যর্থ।

ব্লগ শুরু করুন এখুনি

ই-কমার্স সাইট বানানোর পরে সেখানে কি এমনিতেই মানুষ আসবে আপনার পণ্য দেখার জন্য? না, এমনটি বাস্তবে হয় না।

নিয়মিত ট্রাফিক নিয়ে আসতে হলে সঠিক পরিকল্পনা মাফিক এগোতে হবে। এই পরিকল্পনায় ব্লগ একটি অন্যতম উপাদান।

ইকমার্স সাইট ‘লাইভ’ হবার দিন থেকেই একটি সমৃদ্ধ তথ্যবহুল ব্লগ থাকলে আপনি খুব সহজে কাস্টমারদের আকৃষ্ট করতে পারবেন এবং দ্রত সেল নিয়ে আসতে সক্ষম হবেন।

অনলাইনে কাস্টমাররা যে সেলার থেকে তার পণ্য বা ব্যবসা সম্পর্কে যত বেশি তথ্য পায়, তাঁর অনলাইন শপ থেকেই সাধারণত বেশি কেনাকাটা করেন।

ব্লগের মাধ্যমে আপনার প্রোডাক্ট বা ব্যবসার বিভিন্ন বিষয় নিয়ে বিশদ ভাবে আলোচনা করতে পারেন। কাস্টমাররা আপনার ব্লগ থেকে অনেক প্রয়োজনীয়/আকর্ষণীয় তথ্য পাবে এবং আপনার থেকে কিনতে উৎসাহিত হবে।

ইকমার্স সাইটে ট্রাফিক আসা মানেই সেল হবার সম্ভবনা তৈরি হওয়া। যত বেশি ট্রাফিক আসবে, সেল হবার সম্ভবনা তত বেড়ে যাবে। এক জরিপে দেখা গেছে, যেসব বিজনেস সাইটের ব্লগ থাকে, তারা – যাদের ব্লগ থাকে না তাদের চাইতে – ৫৫% বেশি ট্রাফিক পায়।

একবার ই-কমার্স সাইটের ব্লগে কাস্টমারকে নিয়ে আসতে পারলে বিভিন্ন উপায়ে তাকে প্রোডাক্ট পেজে নিয়ে যাওয়া যায়।

একটি চমৎকার ব্লগের উদ্দশ্যে হলো কাস্টমারদের আপনার প্রোডাক্ট, ব্যবসা বা ইন্ডাস্ট্রি সম্পর্কে জানানো ও  এবং আপনার কাজের মান, দক্ষতা ও অভিজ্ঞতা তাদের সামনে তুলে ধরা।

একটি সমৃদ্ধ ব্লগ কাস্টমারদের কেনাকাটার ইচ্ছা না থাকলেও আপনার ই-কমার্স সাইটে আসার পথ তৈরি করে দেয়। তাই প্রতিটি ই-কমার্স সাইটে ব্লগ অপরিহার্য।

ব্লগ আপনার ই-কমার্স সাইটের অরগানিক সার্চ রাঙ্কিং বাড়ায়, ফলে গুগল সার্চে আপনার সাইট থাকে সবার উপরে। উপরে থাকা মানে ট্রাফিক বেশি আসা, ট্রাফিক বেশি মানে সেল বেশি। সহজ হিসাব। তবে চ্যালেঞ্জ হলো বেশি পরিমান ট্রাফিক রেগুলার ধরে রাখা।

ব্লগের একটি চমৎকার ব্যবহার হচ্ছে এটিকে প্রোডাক্ট প্রমোশন চ্যানেল হিসেবে ব্যবহার করা। আপনি যে প্রোডাক্টই সেল করেন না কেন সেটি নিয়ে ব্লগ লিখুন এবং শর্ট লিংক বা হাইপার লিংক ব্যবহার করে আপনার প্রোডাক্টের পেজে কাস্টমারদের ল্যান্ড করান। চাইলে প্রোডাক্ট থেকেও ব্লগে নিয়ে যেতে পারেন।

কাস্টমার যখন একটি প্রোডাক্ট দেখে সেটি রিলেটেড ব্লগ পড়তে উৎসাহিত হয় তখন বুঝবেন তিনি প্রোডাক্ট কেনার সিদ্ধান্ত নিতে ৫০% এগিয়ে গেছেন।

আপনি এই লিখাটি পড়া চালিয়ে যাচ্ছেন কারন আপনার ইকমার্স সাইট নিয়ে আগ্রহ আছে। আপনার প্রোডাক্টের কাস্টমারদের ক্ষেত্রেও একই ব্যাপার ঘটে।

আপনি কাস্টমারের কাছে আপনার প্রোডাক্ট এর প্রয়োজনীয়তা, গুরুত্ব বা সৌন্দর্য যথাযথ ভাবে তুলে ধরুন । কাস্টমার নিশ্চয় উপযুক্ত মূল্য পরিশোধ করবেন।

ই-মেইল মার্কেটিং-এর জন্য কাস্টমার লিস্ট তৈরি করুন

কাস্টমাররা যদি না জানে আপনার বিজনেসে কি হচ্ছে তাহলে কিভাবে তাঁরা আপনার সাথে যুক্ত হবে?

নতুন একটি ই-কমার্স সাইট দ্বারা সেল নিয়ে আসতে হলে প্রথমে এটি সবার কাছে পরিচিত করতে হবে। আপনার পরিচিত কাস্টমারদের দিয়ে আপনি এটি শুরু করতে পারেন ।

ই-মেইল এড্রেস সহ কাস্টমার একটি লিস্ট বানিয়ে ফেলুন।প্রথম দিকে ইমেল লিস্ট অল্প হলেও হতাশ হবার কিছু নেই, সময় নিয়ে ধৈর্য সহকারে এই লিস্ট বাড়াতে মনযোগী হোন।

ই-কমার্স সাইটের জন্য কিভাবে ই-মেইল লিস্ট বাড়াবেন? 

  • ই-কমার্স সাইটে রেজিস্ট্রেশান করলে সাথে সাথে অফার, ডিস্কাউন্ট বা কুপন প্রদান করুন।
  • আপনার ইমেল নিউজলেটারটি অন্যদের সাথে শেয়ার করতে কাস্টমারদের উৎসাহিত করুন।
  • সোশ্যাল মিডিইয়াতে আপনার বিজনেস পেজের ফলোয়ারদের ইমেইল সাবস্ক্রাইব করতে বলুন।
  • ইমেইল সাবস্ক্রাইব করলে ফ্রী গিফট অফার করুন। 
  • আপনার প্রোডাক্ট, ব্যবসা বা ইন্ডাস্ট্রি নিয়ে অজানা তথ্য দিন।   

সবকিছুর মুলে আপনার লক্ষ্য থাকবে কাস্টমারদের ফোন নম্বর ও ইমেইল সংগ্রহ করা। আপনি প্রশ্ন করতে পারেন,  সেল বাড়ানোর দিকে মনযোগী হওয়ার পরিবর্তে কেন ই-মেইল লিস্ট বাড়াবো?

আমরা যা কিছু নিয়ে আলোচনা করছি তাঁর আউটপুট হলো সেলস।এখানে কৌশল হল, আপনি যদি ইমেল লিস্ট বাড়ানোর চেষ্টা করেন তাহলে সরাসরি কাস্টমারদের কাছে পৌঁছাতে পারবেন। এতে অল্প মার্কেটিং খরচে অনেক বেশি অনলাইন সেল নিয়ে আসা আপনার জন্য সহজ হয়ে যাবে।

কিভাবে?

একটি জরিপে উঠে এসেছে,  ইমেল মার্কেটিং ই-কমার্স বিজনেসে ৮১% নতুন কাস্টমার নিয়ে আসে আর তাঁদের মধ্যে ৮০% একের অধিক বার কেনাকাটা করে। 

কেউ যদি আপনার ই-মেইল গুলি পেতে মেইল বক্সে আপনার ই-মেইল সাবস্ক্রাইব করে রাখে তাহলে নিশ্চিতভাবে আপনার ব্র্যান্ড ও প্রোডাক্টের প্রতি তাঁর আগ্রহ আছে ।

তাঁরা কোন এক সময় আপনার প্রোডাক্ট কিনবেই। আপনি কত দ্রুত তাকে প্রোডাক্ট কিনতে উৎসাহিত করতে পারছেন এটি আপনার মার্কেটিং দক্ষতা। দক্ষ মার্কেটিং কাস্টমারদের কেনাকাটার রেট ও স্পিড বাড়িয়ে দেয়।

সোশ্যাল মিডিয়া

 

যদি ইতিপূর্বে সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহার না করে থাকেন তবে এখুনি একটি বিজনেস পেজ শুরু করুন।

বাংলাদেশে সোশ্যাল মিডিয়াগুলির মধ্যে ফেসবুক অত্যন্ত জনপ্রিয়।  বর্তমানে বিশ্বের প্রায় ২ বিলিয়ন মানুষ এই প্লাটফরম ব্যবহার করছে।

ফেসবুক বুস্টিং সুবিধা কাজে লাগিয়ে আপনার ই কমার্স সাইটি সবার কাছে পরিচিত করান। অনেকের ধারণা,  ফেসবুক বুস্টিং মানে ‘টার্গেট’ সেট করে কার্ডে ডলার পেমেন্ট করলেই হয়ে গেল। ফলে অনেকে হাজার হাজার টাকা খরচ করেও কাঙ্ক্ষিত ফলাফল নিয়ে আসতে পারেন না।

যদি চান সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহার করে সঠিক কাস্টমারদের কাছে পৌঁছাতে তাহলে আপনার দরকার,

  • সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং-এর সঠিক ও কার্যকারী পদ্ধতি সম্পর্কে জানা।
  • চমৎকার কনটেন্ট যা কাস্টমারদের প্রোডাক্ট কিনতে উৎসাহিত করে।
  • সোশ্যাল মিডিয়া দিয়ে কাস্টমারদের ধরে রাখার কৌশল। 
  • সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং-এ কাস্টমার ডেটার ব্যবহার। 

ফেসবুক বর্তমান সময়ে বিজনেস গ্রোথে দারুণ প্রভাব বিস্তার করে আছে। পরিকল্পিত উপায়ে এই মিডিয়া ব্যবহার করে খুবই অল্প খরচ করে অনেক বেশি প্রফিট করা যায় । সেজন্য জানতে হবে সঠিক ব্যবহার পদ্ধতি।

আপনার বিজনেস গ্রোথে সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং-এর সঠিক ব্যবহার নিশ্চিত করতে দক্ষ ডিজিটাল মার্কেটিং প্রতিষ্ঠানের সাহায্য নিন। 

সোশ্যাল মিডিয়া বন্ধুদের দ্বারা অন্যদের প্রভাবিত করুন

 

এই কনসেপ্ট অল্প পুঁজির ই-কমার্স বিজনেসের জন্য খুবই কার্যকারী। বর্তমান সময়ে অনেক নামীদামী ব্র্যান্ড সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে সেলিব্রেটিদের দ্বারা তাঁর ফ্যান ফলোয়ারদের কাছে প্রোডাক্টের প্রমোশন করে।

এতে সেই সেলিব্রেটিকে মোটা অংকের পেমেন্ট করা লাগে। কিন্তু আপনি চাইলে খুব সীমিত খরচে বা বিনামূল্যে এই কৌশল ব্যবহার করে আপনার ব্র্যান্ডটিকে সবার কাছে পৌঁছে দিতে পারেন।

কিভাবে করবেন?

সোশ্যাল মিডিয়াতে আপনার পরিচিত এমন কিছু কানেকশান খুঁজে বের করুন যারা সোশ্যাল মিডিয়াতে খুব একটিভ এবং যাদের ফ্রেন্ডলিস্টে কয়েক হাজার মানুষ আছে। এবার আপনার একটি অ্যাড কনটেন্ট তাঁদের সোশ্যাল একাউন্ট থেকে পাবলিশ করতে বলুন।

বিনিময়ে আপনি তাদের ফ্রি স্যাম্পল প্রোডাক্ট ব্যবহার করার জন্য দিতে পারেন বা তাদের সাথে কোনো পেমেন্ট এর চুক্তিতে আসতে পারেন।

নিয়মিত বিরতি দিয়ে তাঁরা বার বার নতুন কনটেন্ট পাবলিশ ও শেয়ার করতে থাকবে। ৫টি ভিন্ন সোশ্যাল একাউন্ট হতে আপনার পোস্ট পাবলিশ হলে যদি তাঁদের প্রত্যেকের গড়ে তিন হাজার বন্ধু থাকে তাহলে ১৫ হাজার মানুষের কাছে আপনার পোস্ট খুব সহজে পৌঁছে যাবে।

এটি একটি উদাহরণ। আপনার বিজনেসের জন্য নিজের মত করে এরকম পরিকল্পনা করুন।  প্রশ্ন আসে, গ্রুপে শেয়ার করলেই হয়, তাহলে পার্সোনাল একাউন্ট থেকে কেন?

মানুষ অপরিচিত কারো গ্রুপ পোস্ট এর চাইতে ফ্রেন্ডলিস্টে থাকা কারো পোস্ট বেশি বিশ্বাস করে এবং দেখতে আগ্রহী হয়। তাই এই কৌশল দারুণ কার্যকরী।

অনলাইন অর্ডারে ডিস্কাউন্ট অফার করুন

 

আপনার ই-কমার্স সাইটটি নতুন। কাস্টমার রিভিউ ও অন্যান্য প্রয়োজনীয় তথ্য ছাড়া কেন কাস্টমার আপনার সাইট থেকে কিনবে?

আপনার রেগুলার কাস্টমারদের বলুন অনলাইন থেকে কিনতে, যদিও তাঁরা আপনার শোরুম বা সরাসরি স্টোর হতে কেনে। তাঁদের অনলাইন অর্ডারে ডিস্কাউন্ট দিন।

অনেকে বলেন, আমি অনেক কমে প্রোডাক্ট সেল করি। ডিস্কাউন্ট দিলে প্রফিট কিছুই থাকে না। আপনি এক্ষেত্রে ৫০০ টাকার প্রোডাক্ট ৭০০ টাকা মূল্য নির্ধারণ করুন এবার ২০০ টাকা ডিস্কাউন্ট দিয়ে ৫০০ টাকায় সেল করুন। 

নিশ্চিত থাকতে পারেন, কাস্টমার আপনার প্রোডাক্ট কিনবে, এটি অনেক পুরনো ও পরীক্ষিত পদ্ধতি। বিষয়টি যতটা যৌক্তিক, তারচেয়ে বেশি মনস্তাত্ত্বিক।

 

ইকমার্স ওয়েবসাইট ডিজাইন

অনেকে মনে করেন, ইকমার্স সাইটের ডিজাইন যত বেশি আকর্ষণীয় ও জাঁকজমক হবে তত ভালো। কিন্তু সত্যিটা সম্পূর্ণ আলাদা।

ইকমার্স ওয়েবসাইটের দ্বারা প্রোডাক্ট দেখানোই ( শোকেস ) মূল উদ্দেশ্য। তাই নজর দিতে হবে প্রোডাক্ট প্রেজেন্টেশানের ছোট বড় বিষয়গুলির উপর।

ইকমার্স সাইত যত বেশি সিম্পল আর ব্যবহারে সহজ হবে তত ভালো। আপনার প্রোডাক্ট এর ধরণ এবং সংখ্যা অনুযায়ী ইকমার্স সাইট ডিজাইন করা জরুরী।

এক্ষেত্রে একজন ইকমার্স কনসালট্যান্ট আপনাকে সঠিক গাইডলাইন দিতে পারবে। তাঁরা জানে কেমন ডিজাইন আপনার বিজনেসের জন্য কার্যকারী। তাই ইকমার্স সাইট তৈরির আগে প্রফেশনাল ই-কমার্স সল্যুশন সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠানের সাথে পরামর্শ করে নিলে উপকৃত হবেন।